হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনের জনসংখ্যার ৮৩•৩৩% এবং ইউরোপের জনগণের ৮০% এর টিকাকরণ সম্পন্ন হওয়ার পর অল্প দিনের মধ্যেই ইউরোপে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু হার যে বেড়ে গেছে এবং এরফলে ইউরোপ যে জর্জরিত হয়ে ধুঁকছে তা খবরে প্রকাশিত হয়েছে ।
গতকাল শুক্রবারে একদিনেই ব্রিটেনে ৪০০০০ এর অধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন । জার্মানিতে একদিনেই ৫০০০০ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং আরও এক লক্ষ লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে !! তাহলে কি অ্যাস্ট্রোযেনেকা , ফাইযার , মডার্ণা জনসন এ্যান্ড জনসন , সিনোফার্ম , সিনোভ্যাক্স ও স্পুটনিক ভ্যাক্সিন তেমন একটা কার্যকারিতা প্রদর্শন করতে পারছে না ?! তাহলে কি বেশ ঘন ঘন বুস্টার ডোয্ নিতে হবে সবাইকে ?! এভাবে ঘন ঘন বুস্টার ডোয্ নিতে থাকলে অনেক মানুষ তো করোনায় নয় ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়ই হয় মারা যাবে নতুবা ভয়ঙ্কর স্থায়ী শারীরিক ক্ষতির শিকার হবে যা তারা বয়ে বেড়াবে সারা জীবন ধরে ?! পরিস্থিতি যে মোটেও ভালো নয় তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উক্তি থেকে সহজেই বোধগম্য । প্রশ্ন হচ্ছে :
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারীর ঝড়ো মেঘ কেন ঘনীভূত হতে দেখা যাচ্ছে ? আর এ ধরণের পরিস্থিতি নতুন নয় । কারণ এর আগেও সবাই এ ধরণের পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছিল । তাহলে টিকাকরণ করে পুরোনো অতীত পরিস্থিতি কেন প্রতিহত করা যাচ্ছে না ? অতীতে যখন করোনার তাণ্ডব দেখা দিয়েছিল তখন ইউরোপ ও সমগ্র বিশ্ববাসীর ১%কেও টিকা দেয়া হয় নি বরং কোনো দেশেই তখন টিকা আবিষ্কৃত হয় নি । আর টিকা না থাকার সময় করোনা মহামারীর যে তাণ্ডব ছিল তা যদি ৮০% এর বেশি লোককে টিকা দেয়ার পরও দেখতে হয় তাহলে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন , সন্দেহ ও অবিশ্বাসের উদ্ভব
হওয়াটাই একান্ত স্বাভাবিক ও যৌক্তিক । বাংলাদেশে তো জনগণের ৮০% কে টিকা না দিয়েই যদি করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু হার প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে তাহলে বাংলাদেশের জনগণ টিকা ছাড়াই ইমিউনিটি অর্জন করেছে ! তথাকথিত উন্নত দেশগুলো টিকা নিয়েও সংক্রমণ ও মৃত্যুতে ধুঁকছে এবং তাদের কাংখিত ইমিউনিটি টিকা নিয়েও অর্জিত হয় নি ! আর বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণ টিকা না নিয়েও খুব একটা ধুঁকছে না ! তাহলে বিষয়টা হল কী ? আপনারা ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন কি ?
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান